fbpx
বাংলাদেশঅন্যান্যরাজনীতিশোক সংবাদ

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা

জাতীয় শোক দিবসে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ৪৮ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়ায় তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করে ফাতেহা পাঠ, দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্য এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আওয়ামী লীগ সভাপতি হিসেবে দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে দ্বিতীয় বার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কিছু বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এছাড়া আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকেও বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রী বেলা ১১টা ৩৫ মিনিটে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে টুঙ্গিপাড়া আসেন শেখ হাসিনা।

এর আগে সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

ধানমন্ডির পরে বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট নিহত স্বজনদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী।

১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। ১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে।

দিনটি সারাদেশে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তাঁর তিন ছেলে-শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শেখ রাসেল-এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের অধিকাংশ সদস্য ও তাঁর তিন ঘনিষ্ঠ আত্মীয় একদল বিপথগামী সেনা সদস্যের ব্রাশফায়ারে ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের কাল রাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জামিল এবং কর্তব্যরত পুলিশের বিশেষ শাখার এএসআই সিদ্দিকুর রহমান নিহত হন। ঘাতকদের কামানের গোলার আঘাতে মোহাম্মদপুরে একটি পরিবারের বেশ কয়েকজন হতাহত হন।

সে সময় দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা।

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button