জলবায়ু অভিবাসীদের সহায়তায় আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর গুরুত্বারোপ
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য প্রস্তাবিত ‘লস অ্যান্ড ড্যামেজ ফান্ডের’ আওতায় জলবায়ু অভিবাসীদের সহায়তার জন্য আন্তর্জাতিক অর্থায়ন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রয়োনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি ‘কাউকে পিছিয়ে না রাখার’ বৈশ্বিক প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে জলবায়ু অভিবাসীদের জন্য নীতিগত সহায়তার উপর জোর দেন।
বুধবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ফাঁকে ‘হার্নেসিং ক্লাইমেট মোবিলিটি ফর অ্যাডাপটেশন অ্যান্ড রেজিলিয়েন্স’ শীর্ষক হাই লেভেল ব্রেকফাস্ট অব দি ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে ভাষণে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন এবং অভিবাসন উভয় আলোচনায় জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে মূলধারায় আনারও আহ্বান জানান।
ড. মোমেন বাংলাদেশের জলবায়ুর ঝুঁকিপূর্ণতা এবং প্রতি বছর প্রায় সাড়ে ৬ লাখ মানুষের জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতির কারণে সৃষ্ট চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।
তিনি কক্সবাজারে বিশ্বের বৃহত্তম জলবায়ু অভিবাসীদের পুনর্বাসন প্রকল্পসহ দেশে জলবায়ুজনিত বাস্তুচ্যুতি মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা শেয়ার করেন।
অভিবাসন বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থার (আইওএম ) নির্বাচিত মহাপরিচালক অ্যামি পোপের পরিচালনায় অনুষ্ঠানটির সহযোগি আয়োজক ছিল বাংলাদেশ, টুভালু, নাইজার, বতসোয়ানা, টোঙ্গা, কোমোরোস, গুয়াতেমালা, আইওএম, জাতিসংঘ সাধারণ পরিসদের সভাপতি এবং ইউএন গ্লোবাল সেন্টার অব ক্লাইমেট মোবিলিটি।
এ আলোচনায় রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান, মন্ত্রী এবং জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
নেতৃবৃন্দ জলবায়ু সংকটের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে ২০ কোটিরও বেশি মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হতে পারে।
তারা আরো বলেছেন, এর প্রভাবে মহিলা এবং মেয়েরা, যুবক, প্রতিবন্ধী ও আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন অসমভাবে ভুক্তভুগি হয়।
জলবায়ু অর্থায়নের জন্য সম্পদের সময়মতো সংগঠিতকরণ এবং প্রাথমিক সতর্কীকরণ ব্যবস্থার বাস্তবায়ন ও উপাত্ত ব্যবস্থাপনা যে কোন সমাধানের গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে।