fbpx
বাংলাদেশ

জুলিও কুরি শান্তি পুরস্কারের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধু হয়ে ওঠেন বিশ্বনেতা

আজ ২৩ মে। ১৯৭৩ সালের এই দিনে ঢাকায় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে, জাতির পিতার হাতে জুলিও কুরি পদক তুলে দেন, বিশ্ব শান্তি পরিষদের তৎকালীন মহাসচিব, রমেশ চন্দ্র। পরবর্তীতে এ মহান অর্জনের ফলে, জাতির পিতা পরিণত হন,বঙ্গবন্ধু থেকে বিশ্ববন্ধু।

শুধু বাংলাদেশ নয়,সারাবিশ্বের শোষিত এবং নিপীড়িত মানুষের নেতা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর স্বপ্নই ছিলো গণতন্ত্র ও শান্তি প্রতিষ্ঠা। সাম্রাজ্যবাদের বিপরীতে, সাম্যবাদের চর্চা এবং বঞ্চিত মানুষের মুখে হাসি ফোঁটাতে, আজীবন আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন, জাতির অবিসংবাদিত এই নেতা। শোষিতের পক্ষে ছিলেন বঙ্গবন্ধু। জোট নিরপেক্ষ নীতি,শান্তি ও ন্যায়ের পক্ষে তাঁর অবস্থানেই বিশ্বসভায়, আদর্শ দেশের মর্যাদা পায় বাংলাদেশ।

বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামের জীবন মানেই, একটু একটু করে পরিণত হয়ে ওঠা, স্বাধীন বাংলাদেশের গল্প। ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, শুধু বাংলার মানুষকেই দিশা দেখায়নি বরং এই ভাষণ হয়ে উঠেছিল, গোটা বিশ্বের নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের একমাত্র প্রেরণার উৎস। ২০১৭ সালে যার স্বীকৃতি মেলে, বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে।

স্বাধীনতা আর শান্তি প্রতিষ্ঠায়, আজীবন সংগ্রাম করা এই মানুষটিকে ১৯৭২ সালের ১০ অক্টোবর, বিশ্বের ১৪০টি দেশের শান্তি পরিষদের ২০০ প্রতিনিধির সম্মতিতে জুলিও কুরি শান্তি পদকের জন্য মনোনীত করে বিশ্ব শান্তি পরিষদ। যা ১৯৭৩ সালের ২৩ মে জাতির পিতার হাতে তুলে দেয়া হয়।

এই পদক প্রাপ্তির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা পৌঁছে যান অনন্য এক উচ্চতায়। নেলসন ম্যাণ্ডেলা, মহাত্মা গান্ধী, ইয়াসির আরাফাত, ফিদেল ক্যাস্ট্রোসহ, বিশ্বনেতাদের সাথে উচ্চারিত হতে থাকে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম।বঙ্গবন্ধুকে দেয়া জুলিও কুরি পদক, দেশকে অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয়

আজও সারা বিশ্বে শান্তি, প্রগতি ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় জাতির পিতার আদর্শ অনুকরণীয়। যা বিশ্ব মঞ্চে তাকে বাঁচিয়ে রাখবে হাজার বছর।

বাংলা টিভি / বুলবুল

সংশ্লিষ্ট খবর

Back to top button